রংপুর ব্যুরো
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বসতবাড়ির পুকুর পাড়ের সীমানাকে কেন্দ্র করে মারামারি। এতে রক্তাক্ত হলেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৪) ও তার পরিবারের লোকজন। শুক্রবার সকালে গ্রামে এ মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা বিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও ওই গ্রামের শাহ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আমিনুল ইসলাম নান্নু নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছেন পুলিশ। তথ্যে জানা যায়, প্রতিবেশি মৃত আজিজার রহমান অজি মারওয়ারীর ছেলে আব্দুল মতিন মিয়ার (৫৬) সাথে বসতবাড়ির পুকুর পাড়ের সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। সীমানায় খুঁটি দেয়াকে কেন্দ্র করে বাঁধা দেয় ঢাবি শিক্ষার্থীর পরিবারের লোকজন।
এসময় আব্দুল মতিন মিয়া ও তার স্বজনরা দেশিয় অস্ত্র (দা, বটি, ছোরা, কুড়াল ও কোঁদাল) দিয়ে অতর্কিত হামলায় চালায় ঢাবি শিক্ষার্থীর পরিবারের লোকজনদের উপর। এতে গুরুত্বর আহত হন ঢাবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, তার বাবা শাহ আলী, মা আনোয়ারা বেগম ও তার বড়ভাই রাঙ্গা মিয়া (২৭)। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ট করেন।
ঢাবি শিক্ষার্থী জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই তারা আমাদের উপর এ হামলা চালিয়েছে। বাড়িতে না থাকায় আব্দুল মতিন মিয়ার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি এবং মোবাইল ফোনেও পাওয়া যায়নি।
তাকে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের অবস্থা বেগতিক দেখায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ট করা হয়েছে।
এদিকে মারামারির ঘটনায় আব্দুল মতিন মিয়ার বিয়াই আমিনুল ইসলাম নান্নুকে আটক করেছেন থানা পুলিশ। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান জানান, মারামারির বিষয়টি শুনেছি। এই ঘটনায় আটক করাও হয়েছে ১জনকে। পুলিশ ব্যাপক তৎপর রয়েছে বলেও জানান ওসি।